হল খোলার দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ চলছে
হল খোলার দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ সকাল ১১টায় ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বরে সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে। বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইবির চলমান পরীক্ষাসমূহ স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
যা পুরোপুরি হটকারী একটি সিদ্ধান্ত। হল খুলে পরীক্ষাসমূহ নেওয়ার দাবিতে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
জেবি
মন্তব্য করুন
গরম নিয়ে নতুন তথ্য দিলো আবহাওয়া অফিস
তাপদাহে পুড়ছে দেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। চলমান এই অবস্থা আরও তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এ ছাড়া একই সময়ে ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে। তবে, এ সময়ে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারনেট ছাড়াই পাঠানো যাবে ছবি-ভিডিও-ডকুমেন্ট
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে মেটার হোয়াটসঅ্যাপ। এই অ্যাপের মেসেঞ্জার হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে উপলব্ধ ফ্রিওয়্যার, ক্রস-প্ল্যাটফর্ম, সেন্ট্রালাইজড ইন্সট্যান্ট মেসেজিং এবং ভয়েস-ওভার-আইপি পরিষেবা। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পাঠ্য এবং ভয়েস বার্তা পাঠাতে, ভয়েস এবং ভিডিও কল করতে এবং ছবি, নথি, ব্যবহারকারীর অবস্থান এবং অন্যান্য শেয়ার করতে দেয়। হোয়াটসঅ্যাপের ক্লায়েন্ট অ্যাপ্লিকেশন মোবাইল ডিভাইসে চলে এবং কম্পিউটার থেকে অ্যাক্সেস করা যায়।
তুমুল জনপ্রিয় হওয়ায় একের পর এক ফিচার এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ। সম্প্রতি সাড়া ফেলা বেশ কয়েকটি ফিচারের পর এবার অফলাইনে শেয়ারের করার ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে আপনি চাইলে ইন্টারনেট ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপে ছবি, ভিডিও ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট আদান-প্রদান করতে পারবেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। গত ২২ এপ্রিল এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ নতুন এক ফিচার নিয়ে কাজ করছে। এই ফিচারের মাধ্যমে অফলাইনে ফাইল ও ডকুমেন্ট ট্রান্সফার করা যাবে। এই সুবিধা আসতে চলেছে শিগগিরই, পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে মেটা।
এতে আরও বলা হয়েছে, অফলাইনে শেয়ার হওয়া ফাইল সম্পূর্ণ অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপটেড থাকবে অর্থাৎ প্রাইভেসি নিয়েও নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। তা জানতে পারবেন না অন্য কেউ। ব্যভহারকারীদের ভরসা পেতে এনক্রিপট হওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে। এই ফিচার সম্পর্কিত একটি স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। তবে ফিচারের ছোট্ট একটি টুইস্ট রয়েছে। সেটি আবার কী? জানা গেছে, আপনার কাছাকাছি সেই ডিভাইস থাকতে হবে এবং তাতে অফলাইন ফাইল-শেয়ারিং ফিচার চালু থাকতে হবে। তবেই এই ফিচার কাজ করবে। ফাইল শেয়ারিং ফিচার বর্তমানে সব অ্যানড্রয়েড ফোনেই পাওয়া যায়।
যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারনেট ছাড়াই ফাইল ও ছবি শেয়ার করবেন
স্ক্যান করে ব্লুটুথ ও শেয়ার ইট অ্যাপের মাধ্যমে দ্রুত এক ফাইল যেমন এক ফোন থেকে আর এক ফোনে চলে যায়। অফলাইন ফাইল শেয়ারিং ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে কোনো রকম ইন্টারনেটের প্রয়োজন পড়ে না। সেই ফিচার কাজে লাগিয়েই হোয়াটসঅ্যাপের এই সিস্টেম কাজ করবে। এটি অন অথবা অফ ও করা যাবে, তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপকে আপনার ফোনের গ্যালারি, ফাইল ও ডকুমেন্ট অ্যাক্সেস করার অনুমতি না দিলে এই ফিচার কাজ করবে না।
হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ইউজারের নম্বর গোপন থাকবে এবং শেয়ার করা ফাইলগুলো এনক্রিপট করা হবে। ফিচারটি ইউজারদের অনেক ডেটা এবং সময় বাঁচাবে।
বর্তমানে ফিচারটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং বেটা ভার্সনে চালু হয়েছে। দ্রুত সব অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইসে ফিচারটি চালু হবে এজন্য অবশ্যই হোয়াটসঅ্যাপ সবশেষ ভার্সনে আপডেট করে নিতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
দেশে চলমান তাপপ্রবাহ কমার খবর নেই আবহাওয়া অফিসের। বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর। তবে তাপপ্রবাহ আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনলাইনে ক্লাস চালু হতে পারে।
আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) শেষ হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তাপপ্রবাহজনিত ছুটি। তবে সিলেবাস শেষ না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা করছে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। একই চিন্তা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
জানা গেছে, দুয়েক দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা রয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে আগের মতো ছুটি চান না অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।
ফোরামের সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ছুটি বাড়ালে সিলেবাস শেষ করতে সমস্যায় পড়তে হবে। এ অবস্থায় একেবারে ছুটি না দিয়ে অনলাইনে ক্লাস বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
ছুটির বাড়ানোর বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে ক্লাস বন্ধ না রেখে অনলাইন কিংবা অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে কীভাবে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ভেতর রাখা যায়, সেই চিন্তা চলছে। তবে অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, আগামী রোববার থেকে ক্লাস খুলছে নাকি ছুটি বাড়ছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। যদি তাপপ্রবাহ না কমে তবে অনলাইন ক্লাস চালুর ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এতে আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথাও বলা হয়েছে।
প্রতীক্ষিত সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস
তাপদাহে পুড়ছে দেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। কখনো তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চলতি মাসে ২৪ দিনের মতো তাপপ্রবাহ বইছে, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এ অবস্থায় এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছেন দেশবাসী। অবশেষে বৃষ্টির খবর জানালেন আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।
তিনি জানান, তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। ১৯৪৮ সাল থেকে এক বছরে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড ভেঙেছে। গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ বইছে বাংলাদেশে। অর্থাৎ ১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে। এছাড়া চলতি বছর দেশের ৭৫ ভাগ এলাকা দিয়ে টানা তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যেমনটি আগে কখনোই ছিল না।
এ সময় বৃষ্টির সুখবর দিয়ে ওমর ফারুক বলেন, তবে আসছে মে মাসের শুরুতে কমবে তাপমাত্রা। মে মাসের দুই তারিখ থেকে দেশের বেশিরভাগ জায়গায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলাসমূহের উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
জানা গেল এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল মে মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তিনি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তপন কুমার সরকার বলেন, ‘ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ৯, ১০ ও ১১ মে-এই তিনটি তারিখের মধ্যে যে কোনো এক দিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ওপর।’
সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সে হিসাবে, মে মাসের ১১ তারিখের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।
এবার সারা দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল। তাদের মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ৯২ হাজার ৮৭৮জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৩১ হাজার ৩১৪ জন। দেশের ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় এ বছর মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। ছাত্র ১ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫২৬ জন। সারাদেশের ৯ হাজার ৬৭৯টি মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীরা ৭১৮টি কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষা দেয়।
এছাড়া বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ২০২৪ সালে মোট পরীক্ষা দিয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৯৪ হাজার ৮৩১ জন, ছাত্রী ৩১ হাজার ৫৩২ জন। সারা দেশের ২ হাজার ৮৭৭টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৭০৯টি কেন্দ্রে ভোকেশনাল পরীক্ষা দিয়েছে।
সকালের মধ্যেই ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস
সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে রোববার সকালের মধ্যেই ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা
তীব্র গরমের কারণে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাহবুবুর রহমান বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
এর আগে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত দেশের সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে আদালতের নির্দেশ মেনে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।